কলকাতা: প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে লাল ঝান্ডায় ঢাকা পড়ল বিগ্রেড (Brigade) ময়দান। শ্রমিক, মেহনতি মানুষের সমর্থনেই রাজ্যে একসময় ক্ষমতায় ছিল বামেরা। সেই মেহনতি মানুষের ভরসার উপর ভর করে আসন্ন ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বামেরা। রবিবার ছুটির দিনে উত্তর থেকে পশ্চিমের জঙ্গলমহল দক্ষিণের জেলা থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেহনতি মানুষের লক্ষ্য ছিল বিগ্রেড। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর পর বামেদের এটাই প্রথম ব্রিগেড সমাবেশ (CPM Brigade)। ব্রিগেড সমাবেশ থেকে তৃণমূল এবং বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করলেন অনাদি সাহু। এদিকে সাম্প্রদায়িক বিভাজনকারী বিজেপি-আরএসএস আর আর অন্যদিকে তৃণমূল দুয়ে মিলে বাংলায় দাঙ্গার পরিবেশ তৈরি করছে।
ব্রিগেড সমাবেশ থেকে সিটুর সাধারণ সম্পাদক তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত, স্বৈরাচারী, ফ্যাসিবাদী সরকার ১৪ বছর ধরে রাজ্যে লুটপাট চালাচ্ছে। ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। ৩২ হাজারের চাকরি ঝুলে আছে। ছাত্রযুবরা পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। চা বাগান, চটকল, কয়লাখনি, ইস্পাত কারখানার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। সমস্ত শ্রমজীবী মানুষ আজ বিপন্ন। অন্যদিকে, স্থায়ী কাজে অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক নেওয়া হচ্ছে। এই পদ্ধতি শ্রম আইনকে ভেঙে দিচ্ছে। সব ক্ষেত্রে অস্থায়ী শ্রমিক, বাধ্য হয়ে তাঁরা কম মজুরিতে কাজ করছেন। আর এরপর কেন্দ্রীয় সরকার শ্রম কর লাগু করতে চলেছে। নরেন্দ্র মোদিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, আগুন নিয়ে খেলবেন না।
আরও পড়ুন: ২০ মে দেশজুড়ে ধর্মঘট ডাক, মন্তব্য অনাদি সাহুর
শুধু তৃণমূলকে নয় বিজেপিকে একহাত নেন সিটুর সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থবিরোধী অর্থনৈতিকনীতি এনেছেন কেন্দ্রের সরকার। আমাদের দেশের মেহনতি মানুষের জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। জীবন দুর্বিষহ। আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি-দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষের থেকে শিক্ষার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে এরা। দেশের মানুষের অর্থে গড়ে ওঠা সম্পদ গুলিকে আদানি-আম্বানিদের হাতে তুলে দিয়েছে মোদি সরকার। দেশের বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় কাঠামো বিজেপি চক্রান্ত করে ভেঙে ফেলছে।
অন্য খবর দেখুন







